আরেকটি হতাশায় মোড়ানো টেস্ট; আবারও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন। আবারও বোলারদের নিয়ে মুশফিকুর রহিমের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। অধিনায়কের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ টেস্টে দলের বোলারদের পারফরম্যান্স।
RELATED STORIES
-
2015-06-14 21:05:10.0
-
2015-06-14 20:24:15.0
-
2015-06-14 21:37:26.0
-
2015-06-14 20:05:32.0
-
2015-06-14 21:54:51.0
-
2015-06-14 21:25:00.0
-
2015-06-14 15:11:20.0
-
2015-06-14 20:45:31.0
-
2015-06-14 20:56:02.0
-
2015-06-14 18:01:54.0
পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের সময়ও বোলারদের নিয়ে হতাশাটা খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিক। এবার ভারতের বিপক্ষে টেস্টের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ সংশয় ছিলেন, বাংলাদেশের বোলারদের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য নিয়ে। ফতুল্লা টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবারও বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানালেন মুশফিক।
“আমাদের বোলারদের আরও স্কিলফুল হতে হবে। খুব বেশি বৈচিত্র না থাকলেও অন্তত ভালো জায়গায় বোলিং করা যায়। চেষ্টা করলে এটা রপ্ত করা যায়। আমাদের বিপক্ষে অন্য দলগুলির ব্যাটসম্যানরা যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে রান করে, আমরা কোনো দলের বিপক্ষে অত স্বাচ্ছন্দ্যে রান করতে পারি না। এমনকি জিস্বাবুয়ের বিপক্ষেও এত সহজে রান করতে পারি না। বোলারদের অনেক উন্নতি করতে হবে।”
ওয়ানডের সঙ্গে টেস্টের বাংলাদেশের মূল পার্থক্য শরীরী ভাষায়। টেস্টে বাংলাদেশের শরীরী ভাষা অনেক সময়ই দৃষ্টিকটু। এই প্রসঙ্গেও মুশফিক টেনে আনলেন বোলারদের।
“যখন একটা লম্বা সময় ধরে কোনো উইকেট পড়ছে না। একটা বল শর্ট আর আরেকটা ফুলটস হলে মাঠে পুরো দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে প্রভাব ফেলে। ভালো বোলিং করলে সবার মধ্যে একটা উদ্দীপনা থাকে; একটা আগ্রহ থাকে যে সুযোগ আসতে পারে যে কোনো সময়। ...আমরাও অনেক কথা বলেছি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো করা নিয়ে।”
ফতুল্লায় উদ্বোধনী জুটিতেই ২৮৩ রান তুলে ফেলে ভারত। জয়ের চেষ্টায় ৬ উইকেটে ৪৬২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে অতিথিরা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে উইকেট পান কেবল সাকিব আল হাসান আর জুবায়ের হোসেন। বৃষ্টি-বিঘ্নিত টেস্টে পরে ফলো-অনে পড়ে ড্র করে বাংলাদেশ।
বোলারদের নিয়ে আক্ষেপ, হতাশা সংবাদ সম্মেলনে বারবারই উঠে এসেছে মুশফিকের কণ্ঠে। এমনকি বিরাট কোহলির সঙ্গে নিজের অধিনায়কত্বের তুলনাতেও বোলারদের নিয়ে মুশফিকের কণ্ঠে অসহায়ত্ব।
“অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ওপর। অন্যদের সঙ্গে আমাদের বোলারদের পার্থক্য অনেক বড়। যদি আপনি না বোঝেন যে, আমি এই জায়গায় বোলিং করব, এই ভাবে একটা ব্যাটসম্যানকে সেট করব, কিভাবে পরিকল্পনা করে তাকে আউট করার চেষ্টা করব, তবে এই জায়গাটায় অনেক বড় একটা পার্থক্য থাকে। যতোই আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজাই, বল যদি হয় একটা এই দিকে, আরেকটা ওই দিকে, তাহলে কখনই তা গ্রহণযোগ্য নয় এই লেভেলে।”
No comments:
Post a Comment